Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
  • ১১ বৈশাখ, ১৪৩১
সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ জানুয়ারি ২০১৭

৮ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক


প্রকাশন তারিখ : 2017-01-10

পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’সহ ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮৭৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। 
এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৩২৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫০ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা যোগান দেয়া হবে। 
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী পরিষদের (একনেক) সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পসমূহ সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাস অর্থ্যাৎ জানুয়ারি পর্যন্ত একনেকের বৈঠক হয়েছিল ১৭টি। এতে ১২৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সমেয়ে ১৬টি একনেক সভায় ১৩১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, নদী ড্রেজিংয়ের পর যে বালু উত্তোলন করা হয়, এই বালু দিয়ে ইটের বিকল্প তৈরি করতে হবে অথবা ‘হলো ব্লক’ তৈরি করতে হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করা যাবে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও সাশ্রয়ী হবে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই এ কাজ শুরু হবে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান। 
তিনি বলেন, পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৩০টি সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতুগুলোর মোট দৈর্ঘ্য হবে ২৬ হাজার ৪০ মিটার। দেশের ৬৪ জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-১ হাজার ৮৯০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প, ৪৫৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। বাগেরহাট জেলায় ৮৩টি নদী, খাল পুনঃখনন এবং মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্য বৃদ্ধি প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় পর্যায়) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। 
এছাড়া বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ এবং উপকেন্দ্রসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তথ্য ভবন নির্মাণ প্রকল্প , এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নব সংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল এবং সারুলিয়া এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৪ কোটি ২ লাখ টাকা। 
বৈঠকে মন্ত্রীবর্গ, প্রতিমন্ত্রী, একনেক সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সংশ্লিষ্ট সিনিয়র কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রকাশনাঃ বদলে যাওয়া দৃশ্যপট

শেখ রাসেল পদক ২০২৪

 

জরুরি হটলাইন

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা

স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১

মুজিব১০০ আ্যাপ

নবস্পন্দন