Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
  • ১১ বৈশাখ, ১৪৩১
সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ মার্চ ২০১৭

পটিয়ায় গ্রামীণ জনপদে পুষ্টি, জ্বালানি ও সারের চাহিদা মেটাচ্ছে খামার ভিত্তিক বায়োগ্যাস প্রকল্প


প্রকাশন তারিখ : 2017-03-20

চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলায় গরুর খামার ভিত্তিক বায়োগ্যাস প্রকল্পের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। গরুর খামারকে ঘিরে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে গড়ে ওঠেছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বায়োগ্যাস প্রকল্প। খামারের গবাদি পশুর ফেলে দেয়া বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে বায়োগ্যাস প্রকল্প করা হচ্ছে। জ্বালানি হিসেবে এ গ্যাস ব্যবহার করায় এর চাহিদাও বাড়ছে। স্বল্প মূল্যের জ্বালানি হিসেবে এ গ্যাস পেয়ে এলাকার লোকজন যেমন উপকৃত হচ্ছে- তেমনি গরুর খামারীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
এছাড়া বায়োগ্যাস প্রকল্পে ব্যবহার শেষে গরুর বর্জ্য জৈব সারে রূপ নেয়। তা ভালো সার হিসেবে বিক্রি করা যায়। সবমিলে দুধ দিয়ে পুষ্টি, বায়োগ্যাস দিয়ে জ্বালানি ও জমির উর্বরতার জন্য সারের চাহিদা মিটিয়ে গ্রামীণ জীবনচিত্র পাল্টে দিচ্ছে খামার ভিত্তিক বায়োগ্যাগ প্রকল্প। পটিয়া উপজেলায় বর্তমানে অন্তত সাড়ে তিনশ’ গরুর খামারে বায়োগ্যাস প্রকল্প রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
পটিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলে প্রায় পাঁচশ’ গরুর খামার রয়েছে। এসব খামারে দৈনিক গড়ে ৬০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। আবার বেশিরভাগ খামারে গড়ে ওঠেছে বায়োগ্যাস প্রকল্প। এ খামার ভিত্তিক বায়োগ্যাস প্রকল্প গ্রামীণ জনপদে পুষ্টি ও জ্বালানি চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা পালন করছে।’
বাংলাদেশ বায়োগ্যাস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান মাসুম বলেন,‘চট্টগ্রামের কয়েকটি অঞ্চলে বায়োগ্যাসের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে পারলে বায়োগ্যাস প্রকল্পকে ঘিরে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।’
এ প্রসঙ্গে খামার ভিত্তিক বায়োগ্যাস প্রকল্পের উদ্যোক্তা পটিয়ার জুলধা গ্রামের হাজি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘একদিন টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠান দেখে গরুর গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস প্রকল্প তৈরি করার নিয়ম জানতে পারি। সেই থেকে এ প্রকল্প করার কথা মাথায় আসে। আমার গরুর খামারে প্রায় আড়াই লাখ খরচ করে বায়োগ্যাস প্রকল্প করি। প্রথমে নিজের ঘরের রান্নার কাজে এই গ্যাস ব্যবহার করি। পরে আশপাশের ২৫টি পরিবারে গ্যাসের সংযোগ দিয়েছি। তা থেকে প্রতি মাসে বাড়তি ১০-১২ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকল্পে ব্যবহার করা গোবর থেকে যে জৈব সার উৎপন্ন হয়- তা বিক্রি করে মাসে ৭-৮ হাজার টাকা পাওয়া যায়।’
চরলক্ষ্যা গ্রামের খামারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি গরুর খামার করার পর মাথায় আসে বায়োগ্যাস প্লান্টের কথা। পরে খামারের গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস প্রকল্প শুরু করি। গ্যাসের পাশাপাশি জৈব সারও উৎপন্ন হচ্ছে। এসব খামার একদিকে এলাকায় দুধের অভাব মেটাচ্ছে- অন্যদিকে গ্যাস সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনপদে জ্বালানি যোগান দিচ্ছে। আবার বায়োগ্যাস প্রকল্প থেকে উৎপন্ন জৈব সার নিজের জমিতে ব্যবহার করছি।

প্রকাশনাঃ বদলে যাওয়া দৃশ্যপট

শেখ রাসেল পদক ২০২৪

 

জরুরি হটলাইন

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা

স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১

মুজিব১০০ আ্যাপ

নবস্পন্দন