Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
  • ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

পাবনাবাসীর রেলের স্বপ্ন জানুয়ারিতেই পূরণ


প্রকাশন তারিখ : 2017-12-27

বর্তমান সরকারে উন্নয়নের আরেকটি সুবিধা পাচ্ছে পাবনাবাসী। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে পাবনাবাসীর। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেই নব নির্মিত রেল লাইন দিয়ে পাবনা-রাজশাহী রেল চলবে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাবনা রেল পথ নির্মাণে সময় ও অর্থ বেশি লাগলেও এখন শুধুই উদ্বোধনের পালা। রেল ভ্রমণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন পাবনাবাসী।
পাবনা রেল পথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা মুহাম্মদ সুবক্তগীন জানান, পাবনা রেল পথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে হয়েছে, পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে। এখন চলছে রেললাইনের সিগন্যাল বাতি লাগানো, রং করা হচ্ছে শেডে, লাইনে বসানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সব মিলে শেষ সময়ের কাজ চলছে পুরোদমে। তিনি আরো জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে একটু সময় বেশি লেগেছে, আশা করছি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেই পাবনা থেকে যাত্রী নিয়ে রেল ছেড়ে যাবে। প্রথম পর্যায়ে একটি শাটল রেল পাবনা-ঈশ্বরদী -রাজশাহী রুটে চলাচল করবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পাবনার মানুষের ১শ বছররের দাবি ছিল এ রেলপথ। ১৯১৪ সালে পদ্মা নদীর উপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ চালু হলে সেই সময়ে দাবি উঠে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা পর্যন্ত একটি লিংক রোড রেললাইনের। সেই সময় ব্রীটিশরা এ দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতিও দেন। তবে সেই প্রতিশ্রুতি আর পরে বাস্তবায়ন হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে সরকার পাবনাবাসীর দীর্ঘ দিনের এ দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথ প্রকল্প হাতে নেয়। সে সময় পাবনায় নদী কেন্দ্রীক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেলে স্থলপথে যাতায়াত ব্যবস্থা অরো শক্তিশালী করতে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে নগরবাড়ী পর্যন্ত রেলপথের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে পাবনা শহরের টাউন হল মুক্তমঞ্চ মাঠে এক ভিডিও কনফারেন্সে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পাবনার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেন আগামীতে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে এ রেলালাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে আওয়ামীলীগ সরকার পাবনার বাসীর প্রাণের দাবি এ রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় নকশার কিছুটা পরিবর্তন এনে রেলপথটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে বেড়া উপজেলার ঢালারচর পর্যন্ত নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নিবার্হী কমিটির (একনেক) এর বৈঠকে এ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৯৮২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২৯ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে ২ ফেব্রুয়ারি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন।
পাবনা জেলার ১১টি থানার মধ্যে ৩টি থানার অল্প সংখ্যক মানুষ রেলপথ সুবিধা পেলেও জেলার মোট জনসংখ্যার বিরাট একটি অংশ এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। এ রেলপথ নির্মাণের দাবি ছিল পাবনাবাসীর দীর্ঘ দিনের। সেই অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলছে। এখন রেল ভ্রমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন শহরবাসী। দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন আজ বাস্তব হতে চলছে। এর জন্য গুণতে হবে আর মাত্র ক’টা দিন। নতুন বছরের শুরু থেকেই পাবনাবাসী পা রাখবে স্বপ্নের সেই ঝকঝক শব্দের প্রিয়বাহন রেলভ্রমণে।
এ ব্যাপারে ক’জন পাবনা বাসী বলেন- পাবনা নবনির্মিত রেল স্টেশনের সুবিধা পাবনাবাসী এখনই ভোগ করছে কারণ প্রতিদিন পাবনার হাজার হাজার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে রেল স্টেশনে বিনোদন করতে আসে। জানুয়ারি রেল যাত্রা শুরু হবে এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। এর ফলে পাবনার উন্নয়ন তরান্বিত হবে। এত বড় একটি প্রকল্প পাবনাবাসীকে উপহার দেয়ায় বর্তমান সরকারকে ধন্য জানান তারা।

প্রকাশনাঃ বদলে যাওয়া দৃশ্যপট

জরুরি হটলাইন

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা

স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১

মুজিব১০০ আ্যাপ

নবস্পন্দন