জেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষার্থীসহ ৮৩ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৪ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ৬৪৪ টাকা উপবৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে। ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর পর্যন্ত এই উপবৃত্তি বিতরণ করা হয়।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র বাসস’কে জানায়, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সে কারণে বর্তমান সরকার ভিশন-২০২১ কে সামনে রেখে শিক্ষা ক্ষেত্রে শৃংখলা ফিরে আনার লক্ষ্যে সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য ‘শিক্ষাকে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার’ বিবেচনায় নিয়ে একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে যুযোপযোগী করতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপ-বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও ডাইনামিক ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করেছে। এ সব কার্যক্রম গ্রহণের ফলে সবার জন্য যেমন শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তেমনি ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার আবদুল্লাহ আল আজাদ বাসস’কে বলেন, জেলায় গত ছয় বছরে ৮৩ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৪ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ৬৪৪ টাকা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। যা বর্তমান সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এবং মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন তিনি।