বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক মহান গণঅভ্যুত্থান দিবস মঙ্গলবার নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬-দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান।
দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে।
ঐতিহাসিক ২০ জানুয়ারি ’৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সর্বস্তরের মুক্তিপাগল জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি এই অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি মহান স্বাধীনতা অর্জন করে।
ঊনসত্তরের এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মতিউরসহ অন্যএকজন শহীদ হন।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে বকশী বজারে নবকুমার ইনস্টিটিউট ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজ যৌথ ভাবে এক স্মরণ সভার আয়োজন করে।
নবকুমার ইনস্টিটিউট ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হালিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকালে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ শহীদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।